মেসকাত আহাম্মেদ (ভোলা কলেজ প্রতিনিধি)
যে কোনো দুর্যোগেও আপনি বিএনসিসির ক্যাডেটদের দেখা পাবেন। রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে তারা হাজির হয়ে যান মানবসেবার ব্রত নিয়ে। এসবই তাদের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমের অংশ। এসবের মধ্য দিয়ে তারা শৃঙ্খলা, জ্ঞান, একতা, নেতৃত্ব, নৈতিকতার পাশাপাশি মানবিক গুণাবলির চর্চা করেন। যে কোনো বিপদে হাত বাড়িয়ে দেন বন্ধুর মতো।
মহান বিজয় দিবস স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তীতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ভোলা সরকারি কলেজ প্লাটুনের (০৬) ছয় জন ক্যাডেট’কে দুটি পদে র ্যাংঙ্ক প্রদান করা হয়। নির্বাচিত ক্যাডেটদের র ্যাংঙ্ক ব্যাচ পরিয়ে দেন প্রফেসর আন্ডার অফিসার (পিইউও) মোঃ শাহাব উদ্দিন, প্রভাষক ( ইতিহাস বিভাগ); এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) মোঃ ইকবাল হাসান রাফি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিএনসিসি প্রশিক্ষক কর্পোরাল বাশু দেব ও ক্যাডেট সার্জেন্ট বেনু মাধব রায়। পদন্নোতি পাওয়া ক্যাডেটরা হলেন, (ক্যাডেট কর্পোরাল)- মোঃ মাহফুজুর রহমান, মোঃ শাকিল, মোঃ হাসান আল শাকিল। (ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল)- মোঃ মেহেদী হাসান, মোঃ রাফিউন, মোঃ সাফায়াত হোসেন সাফি। পদোন্নতি পাওয়া ক্যাডেট কর্পোরাল মাহফুজুর রহমান আমাদের বলেন, ‘আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যাতে ভালোভাবে পালন করতে পারি এবং আমার মাধ্যমে যেন দেশ ও জাতির সর্বোচ্চ সফলতা আসতে পারে, সে জন্য সকলের দোয়া প্রার্থী। কর্পোরাল শাকিল বলেন, ‘২০১৮ সালে ক্যাডেট হিসেবে যোগদানের পর থেকেই সংগঠনটির সঙ্গে লেগে থাকার চেষ্টা করেছি। সিনিয়র ক্যাডেটরা প্লাটুনের পাশাপাশি আমাদেরও হাতে ধরে গড়ে তুলেছেন। সময়ের সঙ্গে আমাদেরও দায়িত্ব নেওয়ার সময় এলো। আলহামদুলিল্লাহ নিজের এবং প্লাটুনের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পেরেছি, এটাই ক্যাডেট হিসেবে সার্থকতা। ক্যাডেটদের পদন্নোতির বিষয়ে ভোলা সরকারি কলেজ বিএনসিসি এবং ভোলা জেলার ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) মোঃ ইকবাল হাসান রাফি বলেন জ্ঞান, শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক মূলমন্ত্রে বিএনসিসি সংগঠিত হয়ে সেনা, বিমান ও নৌ শাখা একত্রে কাজ করে যাচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশে। ১৯৮০ সাল থেকে ভোলা সরকারি কলেজ বিএনসিসি প্লাটুন দেশের ক্রান্তিলগ্নে সর্বসময় কাজ করছে। বিএনসিসি ক্যাডেটদের মধ্যে শৃঙ্খলা, নেতৃত্ব ও স্বেচ্ছাসেবক গুণাবলি গড়ে তুলতে বিভিন্ন কার্যক্রম করা হয় এবং যোগ্য ক্যাডেটদে সেকশন অনুযায়ী র ্যাংক দেওয়া হয়।