ভোলায় প্রতিনিধি।
ভোলার ভেলুমিয়া ১নং ওয়ার্ডে ২২তারিখ দুপুর আনুমানিক ১টার সময় চাঁদার দাবিতে বোরাক ড্রাইভার ও মালিক সহ কয়েকজনের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কাবিলা মেম্বার ও তার ছেলে সন্তানেরা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময় ইলিয়াস হাওলাদার এর বোরাক ড্রাইভার এর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করলে তারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করে। এতে কাবিল মেম্বার তার ছেলে আশরাফ, সোহাগ, সোহেল, সাগর তার ভায়রার ছেলে রাকিব, নাছির মিলে ইলিয়াস হাওলাদার এর বোরাক ড্রাইভারকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করে।এই প্রতিবাদ ইলিয়াস হাওলাদার করতে গেলে কাবিলা তার ছেলে সন্তান সহ লোকজন নিয়ে ইলিয়াস, ইব্রাহিম, খাইরুল নেছা,বিবি মরিয়ম,ইতি আক্তার, নাঈমের উপরে লর্গি,রড,দা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৬ জনকে গুরুতর আহত করে।একজন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে। এতে তারা ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। ভোলা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ইলিয়াস জানান,কাবিল মেম্বার আমার কাছেও আমার ড্রাইভার এর কাছে চাঁদা দাবি করলে আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এতে সে আমার ড্রাইভার কে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আমি এর প্রতিবাদ করায় সে দলবল নিয়ে আমার ফ্যামিলির উপর অতর্কিত হামলা করে আমাদেরকে গুরুতর আহত করে , আমার বউয়ের গলার চেইন , মেয়ের কানের ঝুমকা, ও আমার আলমারির তালা ভেঙে ক্যাশ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমি এর উপযুক্ত বিচার এর জন্য পুলিশের কাছে শরণাপন্ন হই।
স্থানীয় লোকজন জানান,সাবেক এই কাবিল মেম্বার একজন দুষ্কৃতকারী ,লম্পট লোক সে নানান ভাবে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে রাখে। চাঁদের জন্য অসহায় ফ্যামিলির প্রতি এই হামলা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারিনা।
কাবিল মেম্বারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে,সে ভোলায় থেকেও ঢাকায় আছেন বলে মিথ্যা ছলনা করে মোবাইল ফোন কেটে দেন এবং কোন বক্তব্য দিতে রাজি হন না।