বাউফলে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে কৃষকদলের নেতার নেতৃত্বে,এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম

0
25
আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন।

কাইয়ুম হোসেন, বাউফল পটুয়াখালী:-
পটুয়াখালীর বাউফলে যুবদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার আলোচনাসভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনাসভা শেষে বাউফল পৌরসভা শাখা যুবদলের সদস্য সচিব মো. মামুন খানকে (৪৭) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আজ বেলা দেড়টার দিকে বাউফল পৌরসভার হাচন দালাল বিপণিবিতানের সামনে ওই ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. ফয়সাল খানের (৪০) নেতৃত্বে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে জসিম।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে,যুবদলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করে উপজেলা ও বাউফল পৌরসভা শাখা যুবদল। সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আপেল মাহমুদ ওরফে ফিরোজের বাসভবনের নিচ তলায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে জসিম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুল জব্বার মৃধা। ওই সভায় চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. বশির আহম্মেদ পঞ্চায়েতের (৪৮) সঙ্গে যুবদল কর্মী মো. আল আমিনের (৩৮) কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে আল আমিন ওই সভা থেকে বের হয়ে যান। সভা শেষ করে নেতা-কর্মীরা বের হয়ে দুপুর সোয়া একটার দিকে হাচন দালাল বিপণিবিতানের সামনে পৌঁছালে উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. ফয়সাল খান (৪০) ও যুবদল কর্মী আল আমিনের (৩৮) নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা ও ধারালো দা নিয়ে হামলা চালায়। ওই সময় ফয়সাল যুবদল নেতা মামুনের মাথার ওপর কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন,‘তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। যেভাবে মামুনকে কোপানো হয়েছে তা কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, একজন চিহ্নিত মাদকসেবী হলেন ফয়সাল। তাঁর মত ব্যক্তিরা কিভাবে দলীয় পদ পায় তা তাঁর বোধগম্য নয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান,‘মাথার হাড় কেটে মগজ দেখা যায়। অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানার জন্য ফয়সালের মুঠোফোনে কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়। বাসায় গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি। আর আল আমিন ঘটনার সঙ্গে জড়িত না বলে দাবি করেন।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘লিখিত অভিযোগ পাননি। এরপরেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন।