ভোলায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থন না করায় বিজেপি নেতার বাসায় বোমা হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন

0
180
আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন।

ভোলা প্রতিনিধি!
ভোলায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থন না করায় বাড়িতে ঢুকে বোমা হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে সদরের পশ্চিম ইলিশায় ৩নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) ভোলা সদর উপজেলা সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন মানিক বাঘা এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মানিক বাঘা জানায়,
তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তার দল ভোটে অংশ নেয়নি।আগামী ৫ জানুয়ারী ভোলা সদর উপজেলাধীন পশ্চিম ইলিশা ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উক্ত নির্বাচনে তিনি যেন নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করে এবং প্রচার-প্রচারনায় নামে সেজন্য চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির তাহাকে প্রচন্ড চাপাচাপি করতে থাকেন। তিনি জহির এর আদেশ-নির্দেশ না মানায় ১৯ ডিসেম্বর রোববার রাত অনুমান পৌনে ৯ টার সময় নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরের নেতৃত্বে তার ক্যাডার স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ আহমেদ বারৈর ছেলে আলী আজম, শাহাজল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর, সুলতান আহমেদ বারৈর ছেলে জিন্নাহ ও আব্দুর রহমানসহ কমপক্ষে তিন শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার বসত বাড়ীতে বৃষ্টির মতো বোমা হামলা করতে থাকে। ক্যাডাররা তার দুই শিক্ষার্থী নাতি ফাহিম এবং তাহিমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। অস্ত্রধারীরা তার বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। জহির ও তার গুন্ডা বাহিনী তার বেড রুমে প্রবেশ করে খাটের তোষকের নীচে রক্ষিত তার নির্মানাধীন ঘরের কাজের রড সিমেন্ট ও অন্যান্য জিনিষপত্র কেনার জন্য গচ্ছিত রাখা সাড়ে ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ক্যাডাররা তার স্ত্রী ও ছেলেকেও বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। ঘটনার পর পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থান ত্যাগ করে।
মানিক বাঘা আক্ষেপ করে আরো বলেন,
আমি জানিনা আমার কি অপরাধ ছিল। এসকল অস্ত্রধারীরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকেই পুরো পশ্চিম ইলিশায় বোমা ফাটিয়ে স্বশস্ত্র মহড়া চালাচ্ছে। জহিরের নির্দেশ না মানলে মানুষের উপর হামলা আর জুলুম-নির্যাতন চালায়। ব্যবসায়ীদের দোকান পাটে তালা মেরে ব্যবসার কাজ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। ইলিশার শান্তিপ্রিয় মানুষ এরকম তান্ডবলীলা অতীতে কখনো দেখেনি। একজন জহিরের কারনেই এখন পশ্চিম ইলিশার মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। তার কাছে মনে হচ্ছে ইলিশার জনগন জিম্মি হয়ে পড়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন,
এসব ঘটনাগুগো আপনারা যাচাই-বাচাই ও তদন্ত করে আপনাদের ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে প্রশাসনের কানকে সজাগ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা চেয়েছেন।

আমাদের ফেইসবুক পেইজ এ লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন।